কাজের চাপ ও দুশ্চিন্তায় অনেকেই নিয়মিত রাত জাগেন। অফিসের কাজ, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম বা অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে অনেকের ঘুমের সময় কমে আসছে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, টানা ঘুম কম হলে এর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের শরীরের নিজস্ব ‘জৈবিক ঘড়ি’ বা সার্কাডিয়ান রিদম নির্দিষ্ট ছন্দে কাজ করে। এই ছন্দ বজায় থাকলেই হরমোন ক্ষরণসহ বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষণায় দেখা গেছে, হাইপোথ্যালামাসে অবস্থিত ‘সুপ্রাকিয়াসম্যাটিক নিউক্লিয়াস’ শরীরের কেন্দ্রীয় ঘড়ি হিসেবে কাজ করে এবং ঘুম–জাগরণের সময়চক্র নিয়ন্ত্রণ করে।
গবেষকেরা জানান, প্রাপ্তবয়স্কদের রাতে গড়ে ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু কেউ যদি নিয়মিত মাত্র ৪ ঘণ্টা ঘুমান, তাহলে শরীরে টেস্টোস্টেরনসহ গুরুত্বপূর্ণ হরমোনগুলোর ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। আর টেস্টোস্টেরন কমে গেলে শুক্রাণু উৎপাদন এবং মান দুটোই কমে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। ফলে বাড়তে পারে পুরুষের বন্ধ্যত্ব সমস্যা।
এছাড়া ঘুমের ছন্দ নষ্ট হলে কর্টিসল বা স্ট্রেস হরমোন বেড়ে যায়, যা টেস্টোস্টেরনের ক্ষরণ আরও কমিয়ে দেয়। এতে ‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া’, ইনসোমনিয়া, প্রদাহ, স্থূলতা, টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতে টানা ঘুম নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। ঘুম না এলে মেডিটেশন, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম বা স্ক্রিন টাইম কমানোর মতো অভ্যাস উপকারী হতে পারে।
আরটিভি/এসকে

