বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক অনেক পরিবর্তন আসে, যেমন মাসিক শুরু হওয়া, উচ্চতা বৃদ্ধি, স্তন বিকাশ; এর জন্য সুষম পুষ্টি (আয়রন, ভিটামিন সি) ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জরুরি, পাশাপাশি মানসিক সমর্থন প্রয়োজন, কারণ এই সময়ে হরমোনের প্রভাবে কৌতূহল, আকর্ষণ ও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব বাড়ে, তাই সঠিক জ্ঞান ও সচেতনতা অপরিহার্য।
শারীরিক পরিবর্তন ও যত্ন
মাসিক (পিরিয়ড): এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, প্যাড ব্যবহার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা জরুরি, এতে ক্লান্তি আসতে পারে, তাই আয়রন-সমৃদ্ধ খাবার (পালং শাক, ডাল) খেতে হবে।
হরমোনের প্রভাব: উচ্চতা বৃদ্ধি, স্তন বড় হওয়া, বগলে ও যৌনাঙ্গে লোম গজানো স্বাভাবিক।
পুষ্টি: আয়রন (পালং শাক, লাল মাংস, ডাল) ও ভিটামিন সি (ফলমূল) পর্যাপ্ত পরিমাণে খাওয়া উচিত, যা ক্লান্তি দূর করে।
মানসিক ও আচরণগত পরিবর্তন
প্রশ্ন ও কৌতূহল: হরমোনের কারণে মনে নানা প্রশ্ন ও বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হতে পারে।
মানসিক চাঞ্চল্য: দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, আকাশ-কুসুম চিন্তা বাড়ে।
সচেতনতা: এই পরিবর্তনগুলো স্বাভাবিক, এটি নিয়ে ভয় বা লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞান থাকা জরুরি।
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
সচেতনতা: বয়ঃসন্ধিকালীন পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে হবে, যা ঝুঁকি (যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ, যৌন সংক্রমণ) কমাতে সাহায্য করে।
খোলামেলা আলোচনা: মা-বাবা বা বিশ্বস্ত কারো সাথে এই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলা উচিত।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: পর্যাপ্ত ঘুম, পুষ্টিকর খাবার ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য।

