এই ছবিটি দেখার পর আপনাদের মনের মাঝে হয়ত নানা রকম প্রশ্ন জাগতে পারে। কেন এ ধরনের ছবি পোষ্ট করলাম। এই ছবিটির সত্যতা জানার পর আপনার বিভেগ একটু হলেও নাড়া দিবে এটাই আমি আশা করি। আর এ ছবিটি ইউরোপের চিত্রশিল্প “মুরলির” চিত্রায়ন করা।
আসুন আমরা এবার গল্পটি পড়ে জানা যাক।
ইউরোপের এক দেশে এক সময় এই লোকটির না খেয়ে মরার শাস্তি দেওয়া হইল। ঐ লোকটিকে কারাগারে বন্দী করে রাখা হল। তার শাস্তির ধরন এমন ছিল যে যতদিন না ওনার মৃত্য হয়- ততদিন ওনাকে না খেয়েই থাকতে হবে। এমত অবস্তায় ঐ লোকটির একমাত্র কন্যা বাবাকে দেখার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানায়। অনুরোধক্রমে প্রতিদিন একবার করে দেখার অনুমতি পেল মেয়েটি।
প্রতিদিন দেখা করার আগে মেয়েটিকে ভাল করে পরিক্ষা করে নেওয়া হত যাতে মেয়েটি বাবার জন্য কোন প্রকার খাবার আথবা অন্য কোন জিনিস নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে। কিন্ত প্রতিদিন বাবার এ অবস্তা দেখে মেয়েটি আর সহ্য করতে পারছিল না। তাই সে নিজের বাবাকে বাঁচানোর জন্য নিরুপায় হয়ে নিজের বুকের দুধ খাওয়াতে লাগল। এদিকে সাপ্তাহ পেরিয়ে মাস গনিয়ে এল তবুও লোকটির মৃত্য হচ্ছে না।
এতে করে সকল প্রহরীদের মনে সন্দেহ হল লোকটি কি করে এখনো জিবিত রইলো। তাই পরদিন এক প্রহরী মেয়েটির পিছু নেয় এবং বাবাকে নিজের দুধ খাওয়ানো অবস্তায় মেয়েটিকে ধরে ফেলে। এ বিষয়ের উপর আবার মামলা মোকদ্দমা হয়। এমন ঘটনার খবর ছড়িয়ে পরে ইউরোপের প্রতিটি রাজ্যে থেকে আনাচে-কানাচে। বৌঠক হয় মন্ত্রী থেকে সরকার পর্যায়ে। অবশেষে সরকার আইনের চুক্ষঃ বন্ধ করে, বিভেগের চুক্ষঃ খুলে এ বিষয়ের উপর বিচার করে রায় দেন। এতে পিতা ও কন্যা দুজনকেই মুক্তি করে দেওয়া হয়।
নারী যে যেই রুপেই হোকনা কেন সে “মা” — না হয় স্ত্রী, অথবা বোন। এরা প্রতিটি রুপেই ভালবাসার এক দিষ্টান্ত প্রতিক। তাই নারীকে ভালবাসোন ও শ্রদ্ধা সাহকারে সম্মান করুন। আর নারীদের কাছে আমার অনুরোধ তোমরাও তোমাদের ঐ সৌন্দর্য্য কে অক্ষুন্ন রাখিও। এতে রয়েছে তোমাদের জন্য মহা কল্লাণ। আর বন্ধুরা তোমরা কোন জিনিস সমন্ধে ভালমত না জেনে তা মন্তব্য করিও না।
—- ফেইসবুক থেকে সংগৃহিত পোস্ট।

